আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে ৫ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে আলিফা আক্তার (১৮) এক তরুণী। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে প্রেমিক উৎসব আলমের বাড়িতে উঠেন। প্রেমিক বাড়িতে আসার খবরে উৎসব আলম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।প্রেমিক উৎসব আলম (২২) উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজিজার রহমান ওরেফে পঁচা কদুর মিয়ার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রেমিক উৎসব আলম নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খালাসী চাপানি এলাকার মজিদুল ইসলামের মেয়ে আলিফা আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে গত ২ ডিসেম্বর উৎসব আলম প্রেমিকা আলিফকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকবার দৈহিক মেলামেশা করেন। এরমধ্যে আলিফা আক্তার বিয়ের চাপ দিলে সে টানা শুরু করেন। এরপর প্রেমিকা আলিফা আক্তার প্রেমিক উৎসব আলমের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করেন।

প্রেমিকা আলিফা আক্তার বলেন, উৎসব আলমের সাথে আমার এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে কয়েকবার দৈহিক মেলামেশা করেন উৎসব। বিয়ের চাপ দিলে সে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করেন। আমি তার বাড়িতে এসেছি তাকেই বিয়ে করব। এর মধ্যে গত পাঁচ দিন ধরে উৎসব আলমের বাড়িতে আছি। বাড়ির বাহিরে যেতে দেয় না ঘরে আটকে রাখেন উৎসবের বড় ভাই লেবু মিয়া।

এ বিষয়ে সংঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শামসুল আলম বলেন,গত পাঁচ দিন ধরে ডালিয়া এলাকার একটি মেয়ে আমার ওয়ার্ডের বিয়ের দাবিতে উৎসবের বাড়িতে অবস্থান করছেন বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে বৈঠক করার কথা আছে উৎসব আলমের বাবা আজিজার রহমান ওরফে পঁচা কদু বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ে ভালোবাসা করছে কিনা আমি জানিনা। আমার ছেলে বাড়িতে নেই।

এ বিষয়ে প্রেমিক উৎসব আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। উৎসব আলমের বড় ভাই লেবু মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমাদের বাড়িতে হয়েছে তাদের বিয়ে দিব কি দিব না এটা আমাদের বিষয়। সিংঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আজ সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকের কথা রয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম কে বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই তবে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।